আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় দশমিক ভগ্নাংশ ও পূর্ণ সংখ্যার ভাগ – যা ভগ্নাংশের খেলা এর অন্তর্ভুক্ত। গণিত হল জ্ঞানের একটি ক্ষেত্র যাতে সংখ্যা, সূত্র এবং সম্পর্কিত কাঠামো, আকার এবং সেগুলির মধ্যে থাকা স্থানগুলি এবং পরিমাণ এবং তাদের পরিবর্তনগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই বিষয়গুলি যথাক্রমে সংখ্যা তত্ত্বের প্রধান উপশাখা,বীজগণিত, জ্যামিতি, এবং বিশ্লেষণ। তবে একাডেমিক শৃঙ্খলার জন্য একটি সাধারণ সংজ্ঞা সম্পর্কে গণিতবিদদের মধ্যে কোন সাধারণ ঐকমত্য নেই।
গণিতে সংখ্যা ও অন্যান্য পরিমাপযোগ্য রাশিসমূহের মধ্যকার সম্পর্ক বর্ণনা করা হয়। গণিতবিদগন বিশৃঙ্খল ও অসমাধানযুক্ত সমস্যাকে শৃঙ্খলভাবে উপস্থাপনের প্রক্রিয়া খুঁজে বেড়ান ও তা সমাধানে নতুন ধারণা প্রদান করে থাকেন।গাণিতিক প্রমাণের মাধ্যমে এই ধারণাগুলির সত্যতা যাচাই করা হয়। গাণিতিক সমস্যা সমাধান সম্পর্কিত গবেষণায় বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ বা শত শত বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। গণিতের সার্বজনীন ভাষা ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা একে অপরের সাথে ধারণার আদান-প্রদান করেন। গণিত তাই বিজ্ঞানের ভাষা।
দশমিক ভগ্নাংশ ও পূর্ণ সংখ্যার ভাগ
০.৬ ÷ ৩ =?
সংখ্যারেখা ও গ্রিডের মাধ্যমে সমাধান করো।
শিক্ষকের নির্দেশনা অনুসারে নিজেদের খাতায় আঁকো এবং ভাগফল খাতায় লেখো।
এবার গ্রিড বা আয়তাকার ঘরের মাধ্যমে উপরের গাণিতিক সমস্যাটি সমাধান করো।

প্রত্যেকের খাতায় একটি গ্রিড এঁকে দশটি সমান। ভাগে ভাগ করো।
এবার গ্রিড থেকে ০.৬ = ৬/১০ অংশ চিহ্নিত করো।
গ্রিডে ভাগ করার পর সেটি নিম্নের চিত্রের মতো দেখাবে:
এবার গ্রিডের সাহায্যে কীভাবে ভাগফল নির্ণয় করা হলো তা দেখি:
০.৬ ÷ ৩ = ৬/১০ ÷ ৩ = (৬÷৩) × ১/১০ = ২×১/১০=২/১০=০.২
গ্রিডের মাধ্যমে ভাগ করার পদ্ধতি থেকে আমরা ০.৬৩ = ০.২ ভাগটি করার জন্য একটা সহজ উপায় খুঁজে পেলাম।
আর এটাই দশমিক ভগ্নাংশকে পূর্ণসংখ্যা দিয়ে ভাগ করার প্রচলিত পদ্ধতি।
আরও দেখুনঃ