Site icon Mathematics Gurukul [ ম্যাথমেটিক্স গুরুকুল ] GOLN

বীজগণিতের ব্যবহার । মাধ্যমিক ৬ষ্ট শ্রেণি গণিত, ২০২৩

বীজগণিতের ব্যবহার

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় বীজগণিতের ব্যবহার – যা অজানা রাশির জগৎ অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত। গণিত হল জ্ঞানের একটি ক্ষেত্র যাতে সংখ্যা, সূত্র এবং সম্পর্কিত কাঠামো, আকার এবং সেগুলির মধ্যে থাকা স্থানগুলি এবং পরিমাণ এবং তাদের পরিবর্তনগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই বিষয়গুলি যথাক্রমে সংখ্যা তত্ত্বের প্রধান উপশাখা,বীজগণিত, জ্যামিতি, এবং বিশ্লেষণ। তবে একাডেমিক শৃঙ্খলার জন্য একটি সাধারণ সংজ্ঞা সম্পর্কে গণিতবিদদের মধ্যে কোন সাধারণ ঐকমত্য নেই।

গণিতে সংখ্যা ও অন্যান্য পরিমাপযোগ্য রাশিসমূহের মধ্যকার সম্পর্ক বর্ণনা করা হয়। গণিতবিদগন বিশৃঙ্খল ও অসমাধানযুক্ত সমস্যাকে শৃঙ্খলভাবে উপস্থাপনের প্রক্রিয়া খুঁজে বেড়ান ও তা সমাধানে নতুন ধারণা প্রদান করে থাকেন।গাণিতিক প্রমাণের মাধ্যমে এই ধারণাগুলির সত্যতা যাচাই করা হয়। গাণিতিক সমস্যা সমাধান সম্পর্কিত গবেষণায় বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ বা শত শত বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। গণিতের সার্বজনীন ভাষা ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা একে অপরের সাথে ধারণার আদান-প্রদান করেন। গণিত তাই বিজ্ঞানের ভাষা।

 

 

বীজগণিতের ব্যবহার

তোমরা হয়তো ভাবছ, বীজগণিত কেন শিখব তাই না? আমাদের বাস্তব জীবনে কি বীজগণিতের ব্যবহার আছে? উত্তর হবে হ্যাঁ। বীজগণিতের ব্যবহার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সর্বত্র। আমাদের ঘরের রান্না থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিজ্ঞান, প্রকৌশলসহ নানাবিধ ক্ষেত্রে এর ব্যবহার রয়েছে।

তোমরা অনেকেই অবাক হচ্ছো, রান্নার ক্ষেত্রে বীজগণিতের ব্যবহার কোথায়? তোমার মা তোমাদের জন্য নিয়মিত যে রান্না-বান্না করেন, বাড়িতে অনেক মেহমান আসলেও কি তাই করেন? নাকি চেনা রান্নার উপকরণগুলোর অনুপাত পরিবর্তন করেন। তোমার কখনো কি মনে হয়েছে কীভাবে তোমার মা সেই রান্নার রেসিপিটির সামঞ্জস্য রক্ষা করেন? বিষয়টি মজার হলেও তোমার মা কিন্তু এখানে বীজগণিত ব্যবহার করেছে।

তুমি যদি কখনো কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নাও বা টাকা বিনিয়োগ করো, তার জন্য তোমাকে সুদ বা মুনাফা গণনা করতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদি এই মুনাফা নির্ণয়ের জন্য বীজগণিতের সূত্র ব্যবহার করা হয়।

আমরা এক কথায় বলতে পারি, বীজগণিত যেমন গণিতের সকল শাখার মধ্যে সেতুবন্ধ রূপে কাজ করে, তেমনি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

 

গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

একটি খেলা দিয়ে শুরু করলে কেমন হয় বলো তো?

খেলার নিয়মটি হলো:

তোমার বন্ধু যদি খেলাটি জানে, তাহলে সে তুমি যে বিয়োগফলটি পেয়েছ বলে দিতে পারবে। যদিও তোমার পছন্দের সংখ্যাটি তোমার বন্ধু জানে না। সে তোমাকে বলে দিতে পারবে বিয়োগফলটি হবে 10

খেলাটি কিন্তু খুব বেশি জটিল নয়। তুমি একটু ভাবলেই বুঝতে পারবে তোমার বন্ধু কীভাবে তোমার লেখা সংখ্যাটি না দেখে বিয়োগফল বলতে পারল।

? × 3+30 / 3 – ? =10

 

 

আচ্ছা দেখো তো, উপরের খেলার নিয়মগুলো এক সাথে সাজালে নিচের মতো হয় কিনা –

ফাঁকা ঘরে যেকোনো সংখ্যা নিয়ে অথবা অন্য সংখ্যা দ্বারা গুণ, যোগ ও ভাগ করেও খেলাটি খেলতে পারবে। চেষ্টা করে দেখবে নাকি?

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version