আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় মেট্রিক পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্য পরিমাপে এককের রূপান্তর : সিঁড়ি পদ্ধতি – যা দৈর্ঘ্য মাপি এর অন্তর্ভুক্ত। গণিতে সংখ্যা ও অন্যান্য পরিমাপযোগ্য রাশিসমূহের মধ্যকার সম্পর্ক বর্ণনা করা হয়। গণিতবিদগন বিশৃঙ্খল ও অসমাধানযুক্ত সমস্যাকে শৃঙ্খলভাবে উপস্থাপনের প্রক্রিয়া খুঁজে বেড়ান ও তা সমাধানে নতুন ধারণা প্রদান করে থাকেন।গাণিতিক প্রমাণের মাধ্যমে এই ধারণাগুলির সত্যতা যাচাই করা হয়। গাণিতিক সমস্যা সমাধান সম্পর্কিত গবেষণায় বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ বা শত শত বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। গণিতের সার্বজনীন ভাষা ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা একে অপরের সাথে ধারণার আদান-প্রদান করেন। গণিত তাই বিজ্ঞানের ভাষা।
১৭শ শতক পর্যন্ত কেবল পাটীগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতিকে গাণিতিক শাস্ত্র হিসেবে গণ্য করা হত। সেসময় গণিত দর্শন ও বিজ্ঞানের চেয়ে কোন পৃথক শাস্ত্র ছিল না। আধুনিক যুগে এসে গণিত বলতে যা বোঝায়, তার গোড়াপত্তন করেন প্রাচীন গ্রিকেরা, পরে মুসলমান পণ্ডিতেরা এগুলি সংরক্ষণ করেন, অনেক গবেষণা করেন এবং খ্রিস্টান পুরোহিতেরা মধ্যযুগে এগুলি ধরে রাখেন। তবে এর সমান্তরালে ভারতে এবং চীন-জাপানেও প্রাচীন যুগ ও মধ্যযুগে স্বতন্ত্রভাবে উচ্চমানের গণিতচর্চা করা হত। ভারতীয় গণিত প্রাথমিক ইসলামী গণিতের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
মেট্রিক পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্য পরিমাপে এককের রূপান্তর: সিঁড়ি পদ্ধতি
অষ্টাদশ শতাব্দীতে ফ্রান্সে প্রথম এ পদ্ধতি চালু হয়। বাংলাদেশে ১ জুলাই ১৯৮২ সাল থেকে মেট্রিক পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়। এই পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক হিসেবে মিটার, সেন্টিমিটার, কিলোমিটার চালু রয়েছে। তোমরা জেনে অবাক হবে, বিভিন্ন সময় বিজ্ঞানীরা দৈর্ঘ্যের একক মিটার বা সেন্টিমিটারকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে মিটারের সংজ্ঞারও পরিবর্তন হয়েছে। প্রায় ২০০ বছর গবেষণা করে বিজ্ঞানীগণ ১৯৮৩ সালে ‘মিটার’ কে নিম্নরূপে সংজ্ঞায়িত করেন –
‘এক সেকেন্ডের ২৯, ৯৭, ৯২, ৪৫৮ ভাগের এক ভাগ সময়ে আলো যতটুকু দৈর্ঘ্য ভ্রমণ করতে পারে’। আধুনিক বিজ্ঞান মিটারের এই সংজ্ঞাটিকে সর্বাধিক মৌলিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা তোমরা পরবর্তী শ্রেণিতে জানতে পারবে।
গণিত পাঠ্যবই
|
প্রকৃত দৈর্ঘ্য (স্কেল দিয়ে) | |||
ইঞ্চি (inch) | সেন্টিমিটার (cm) |
ইঞ্চি ও সেন্টিমিটারের মধ্যকার সম্পর্ক
|
||
দৈর্ঘ্য | ||||
প্রস্থ | ||||
উচ্চতা |
আমাদের শ্রেণিকক্ষ ও সিঁড়ি | |||||||
আনুমানিক মাপ
|
|||||||
ক্রয়কৃত স্কেল বা ফিতা বা অন্য কোনো উপকরণ দিয়ে নির্ণিত প্রকৃত দৈর্ঘ্য | |||||||
শ্রেণি
কক্ষের |
দৈর্ঘ্য | গজ | ফুট | ইঞ্চি | সে.মি. | মিটার | |
প্রস্থ | |||||||
শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের সিড়ি |
দৈর্ঘ্য | ||||||
প্রস্থ |

আরও দেখুনঃ