আজকে আমরা বীজগাণিতিক রাশির অনুশীলনী ৩ আলোচনা করবো। এটি নবম – দশম শ্রেনী গণিতের বীজগাণিতিক রাশি এর অন্তর্গত।
বীজগাণিতিক রাশির অনুশীলনী ৩
বীজগণিতে অনেক সমস্যা সমাধানে বীজগাণিতিক সূত্র ব্যবহৃত হয়। আবার অনেক বীজগাণিতিক রাশি বিশ্লেষণ করে উৎপাদকের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে।
সংখ্যা নির্দেশক প্রতীক এবং প্রক্রিয়া চিহ্ন এর অর্থবোধক বিন্যাসকে বীজগাণিতিক রাশি বলা হয়। যেমন, 2a + 3b – 4c একটি বীজগাণিতিক রাশি। বীজগাণিতিক রাশিতে a, b, c, p q r, m, n, X, Y, 2, ইত্যাদি বর্ণের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয়। বীজগাণিতিক রাশি সংবলিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এই সমস্ত বর্ণকে ব্যবহার করা হয়। পাটিগণিতে শুধু ধনাত্মক সংখ্যা ব্যবহৃত হয়, অন্যদিকে বীজগণিতে শূন্যসহ ধনাত্মক ও ঋণাত্মক সকল সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। বীজগণিতকে পাটিগণিতের সর্বায়নকৃত (generalized) রূপ বলা হয়।
বীজগাণিতিক রাশিতে ব্যবহৃত সংখ্যাগুলো ধ্রুবক (constant), এদের মান নির্দিষ্ট। আর অক্ষর প্রতীকগুলো চলক (variables), এদের মান নির্দিষ্ট নয়, এরা বিভিন্ন মান ধারণ করতে পারে।
উৎপাদকে বিশ্লেষণ কর (১ – ৩০ ):
১. ab(x – y)- bc(x − y)
২. 9×2+24x + 16
৩.a4 – 27a² + 1
8. x4 – 6x2y2 + y4
৫. (a² – b²)(x² – y²) + 4abxy
৬. 4a2 – 12ab + 9b2 – 4c²
৭. a²+6a+8-y²+2y
৮. 16×2 – 25y2 – 8xz + 10yz
৯. x²+13x+36
১০. x4 + x2 – 20
১১. a2-30a +216
১২. a8 – a4 – 2
১৩. x² – 37x – 650
১৪. 9x2y2 – 5xy² – 14y2
১৫. 4×4 – 27×2 – 81
১৬. ax²+(a² + 1)x+a
১৭. 3(a²+2a)² – 22(a² + 2a) + 40
১৮. (a-1)x² + a²xy + (a + 1)y²
১৯. x3 + 3x²+3x+2
২০. a3 – 6a2 + 12a – 9
২১. a³-9b3+(a+b)3
২২. 8×3+12x²+6x-63
২৩. 8a3 + b3/27
২৪. аб/27 – b6
২৫. 4a2 + 1/4a2 – 2 + 4a – 1/a
২৬. (3a+1)3 – (2a-3)3
২৭. (x+2)(x+3)(x+4)(x+5) − 48
২৮. (x-1)(x-3)(x-5)(x-7)-65
২৯. 2b²c²+2c²a² + 2a2b2-a4-b4-c4
৩০. 14(x+ z)² – 29(x + z)(x + 1) − 15(x+1)²
৩১. দেখাও যে, (x + 1)(x+2)(3x − 1)(3x − 4) = (3x² + 2x − 1)(3x² + 2x−8)
আরও দেখুনঃ