আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় পরিমাপযোগ্য রাশি ধ্রুবক – যা অজানা রাশির জগৎ অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত। গণিত হল জ্ঞানের একটি ক্ষেত্র যাতে সংখ্যা, সূত্র এবং সম্পর্কিত কাঠামো, আকার এবং সেগুলির মধ্যে থাকা স্থানগুলি এবং পরিমাণ এবং তাদের পরিবর্তনগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই বিষয়গুলি যথাক্রমে সংখ্যা তত্ত্বের প্রধান উপশাখা,বীজগণিত, জ্যামিতি, এবং বিশ্লেষণ। তবে একাডেমিক শৃঙ্খলার জন্য একটি সাধারণ সংজ্ঞা সম্পর্কে গণিতবিদদের মধ্যে কোন সাধারণ ঐকমত্য নেই।
গণিতে সংখ্যা ও অন্যান্য পরিমাপযোগ্য রাশিসমূহের মধ্যকার সম্পর্ক বর্ণনা করা হয়। গণিতবিদগন বিশৃঙ্খল ও অসমাধানযুক্ত সমস্যাকে শৃঙ্খলভাবে উপস্থাপনের প্রক্রিয়া খুঁজে বেড়ান ও তা সমাধানে নতুন ধারণা প্রদান করে থাকেন।গাণিতিক প্রমাণের মাধ্যমে এই ধারণাগুলির সত্যতা যাচাই করা হয়। গাণিতিক সমস্যা সমাধান সম্পর্কিত গবেষণায় বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ বা শত শত বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। গণিতের সার্বজনীন ভাষা ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা একে অপরের সাথে ধারণার আদান-প্রদান করেন। গণিত তাই বিজ্ঞানের ভাষা।
পরিমাপযোগ্য রাশি ধ্রুবক
আলো চিনলে যেমন অন্ধকারকেও চিনতে হয় ঠিক তেমনিভাবে চলককে চিনলে ধ্রুবক (Constant) সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। চলকের মতো ধ্রুবকও হলো পরিমাপযোগ্য রাশি। যার মান পরিবর্তনশীল নয়। আমরা যেসকল সংখ্যা নিয়ে কাজ করি: 1, 2, 3, 4, …, 100, 500,……, 1000000,…….. এরা সবাই একেকটা ধ্রুবক। কারণ এদের মানের কোনো পরিবর্তন ঘটে না। তোমার মন খারাপ করা বন্ধু সকালবেলা তোমাকে এসে “এক শালিক দেখেছি” বললে তুমি ঠিক 1টা শালিকই কল্পনা করে নেবে, 5টা কিংবা 10টা নয়।
এই সংখ্যাগুলো এককবিহীন, একক আছে এমন ধ্রুবক খুঁজে পাওয়াও খুব কঠিন কিছু নয়। এই যেমন ধরো 0° সেলসিয়াসে বাতাসে শব্দের বেগ 332 m/s বললে তুমি এই নির্দিষ্ট গতিতেই শব্দকে চলতে কল্পনা করবে।
প্রক্রিয়া চিহ্ন:
পূর্বে আমরা পাটিগণিতে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, বৃহত্তর ও ক্ষুদ্রতর সম্পর্কে জেনেছি। এগুলো যেসব চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে, তাদেরকে আমরা প্রক্রিয়া চিহ্ন বলে থাকি। নিচের ছকটি লক্ষ করো:
প্রক্রিয়া চিহ্নের প্রয়োগ
এমন একটি উপকরণের নাম বলতে পারবে যেখানে + এবং চিহ্ন দুইটি ব্যবহার করা হয়।
ছবির বস্তু দুইটির নাম নিশ্চয়ই বলতে পারবে। ভেবে দেখো তো এটি কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হয়? আর কোনো বস্তুর নাম বলতে পারবে যেখানে আমাদের প্রক্রিয়া চিহ্ন ব্যবহার করা হয়?
ক্রমিক নম্বর | x ও y এর মধ্যকার সম্পর্ক (কথার মাধ্যমে) |
x ও y এর মধ্যকার সম্পর্ক (প্রক্রিয়া চিহ্নের মাধ্যমে)
|
(i) | x প্লাস y | x+y |
(ii) | * মাইনাস y | x-y |
(iii) | x ইন্টু y | xxy বাx. y বা xy |
(iv) | * ডিভিশন y | x+y বা x/ y |
(v) | x ইন্টু 5 |
x x 5 বা x. 5 বা 5x; কিন্তু x5 লেখা হয় না। কারণ ইন্টু বা গুণের ক্ষেত্রে প্রথমে সংখ্যা প্রতীক ও পরে অক্ষর প্রতীক লেখা হয়। যেমন: 3x, 10y, 9z ইত্যাদি।
|
(vi) | x, y এর চেয়ে বৃহত্তর বা বড় | x>y |
(vii) | x, y এর চেয়ে ক্ষুদ্রতর বা ছোট | x<y |

আরও দেখুনঃ